কম্পিউটার সফটওয়্যার (Computer Software)

সফটওয়্যার কে বলা হয় কম্পিউটারের প্রাণ শক্তি । এটি চোখে দেখা যায় কিন্তু স্পর্শ করা যায় না । “কম্পিউটার সফটওয়্যার” হলো কিছু ডাটা (data) এবং কম্পিউটার নির্দেশ (instructions) এর সংগ্রহীত মিশ্রণ, যেটা একটি প্রোগ্রাম (program) হিসেবে বিবেচিত হয় । সফটওয়্যার এ থাকা নির্দেশ ও প্রোগ্রাম গুলোর মাধ্যমে, কম্পিউটার ডিভাইস এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার (hardware) গুলোকে নিয়ন্ত্র করে কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ করা যায়।

 

সফটওয়্যার কে ২ ভাগে ভাগ করা যায়-

  1. সিস্টেম সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম
  2.  এপ্লিকেশন সফটওয়্যার

 

সিস্টেম সফটওয়্যারঃ

সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটার পরিচালনার একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ, যা ছাড়া কম্পিউটার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এটি কম্পিউটারের এমন একটি মূল প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে computer hardware এবং ব্যবহারকারী (user) এর মধ্যে একটি ইন্টারফেস (interface) গঠন করা হয়। সিস্টেম সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের কার্যক্রম এবং ফাংশন সমন্বয় করে। উপরন্তু, এটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্য সব ধরনের সফটওয়্যার কাজ করার জন্য একটি পরিবেশ বা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

 

সিস্টেম সফটওয়্যার কে ৪ টি বিশেষ ভাবে ভাগ করা যেতে পারে-

  1. অপারেটিং সিস্টেম (Operating System)
  2. ডিভাইস ড্রাইভার (Device Driver)
  3. সিস্টেম ইউটিলিটিজ (System Utilities)
  4. ডেভেলপিং সফটওয়্যার (Developing software)

 

অপারেটিং সিস্টেম (Operating System)ঃ

একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে এই Operating system software (OS).

উইনডোজের সিস্টেম সফটওয়্যার গুলো হল- উইনডোজ ১১ (Windows 11), উইনডোজ ১০ (Windows 10),  উইনডোজ ৮ (Windows 8),  উইনডোজ ভিসতা (Windows Vista),  উইনডোজ এক্সপি (Windows Xp),  উইনডোজ ২০০০ (Windows 2000),  উইনডোজ ৯৮ (Windows 98)

এছাড়াও রয়েছে ইউনিক্স (Unix), লিনাক্স (Linux), মেক (Mac), এনড্রয়েড (Android)

ইউজার ইন্টারফেস অনুসারে অপারেটিং সিস্টেমের শ্রেণি বিভাগ:

(ক) বর্ণভিওিক অপারেটিং সিস্টেমের

(খ) চিএভিওিক ইউজার ইন্টারফেস

ক) বর্ণভিওিক অপারেটিং সিস্টেম (Text Based Operating System)

বর্ণভিওিক কমান্ড ব্যবহার করে কম্পিউটার পরিচালনা করাকে টেক্সট বেসড বলে। এই অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করতে হলে ব্যবহারকারীকে প্রথম থেকেই কিছু কমান্ড জানতে হয় । বর্তমানে বর্ণভিওিক অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার খুব কম। বর্ণভিওিক অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ হচ্ছে- DOS (Disk Operting System), UNIX, Linux ইত্যাদি।

খ) চিএভিওিক ইউজার ইন্টারফেস (Graphical user Interface)

গ্রাফিক্স বা চিএের মাধ্যমে নির্দেশ প্রয়োগ করে কম্পিউটার পরিচালনা করাকে চিএভিওিক ইউজার ইন্টারফেস বলে। চিএভিওিক অপারেটিং সিস্টেমে ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রেগ্রাম ব্যবহারের সকল প্রকার কাজ করতে হয় বিভিন্ন প্রকার আইকন ও পুল ডাউন মেনু ব্যবহার করে। চিএিভিওিক সিস্টেমের উদাহারণ হচ্ছে : Windows 7, Windows 10,

 

ডিভাইস ড্রাইভার (Device Driver)ঃ

কম্পিউটারের বিভিন্ন ড্রাইভ পরিচালনার জন্য ডিভাইস ড্রাইভার প্রয়োজন । keyboard, mouse, hard disk, printer, speaker, joystick, web cam, scanner, digital camera ইত্যাদি যেকোনো hardware একটি কম্পিউটারে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি driver software এর প্রয়োজন।

 

সিস্টেম ইউটিলিটিজ (System Utilities)ঃ

Computer এর রক্ষণাবেক্ষণ (maintenance) এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন system utility software গুলোর প্রয়োজন। কিছু, সিস্টেম ইউটিলিটি আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এর সাথেই দেওয়া থাকে। System utilities এর মাধ্যমে, আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন programs এবং system data গুলোর কার্যক্ষমতা (performance) বৃদ্ধি করে নিতে পারি।

কিছু সিস্টেম উটিলিটি সফটওয়্যার এর উদাহরণ হলো:

ডেভেলপিং সফটওয়্যার (Developing software)ঃ

Computer এ থাকা অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর উন্নয়নের (development) এর ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার গুলো কাজ করে।

যেমন,

এপ্লিকেশন সফটওয়্যারঃ

যে সফটওয়্যার গুলো শুধুমাত্র বিশেষ ধরনের নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি করা হয় তাকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে।

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কয় ধরনের  সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হল